পলিম্যাথদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা তাহসানের

প্রকাশঃ জানুয়ারি ২৬, ২০১৫ সময়ঃ ১:০৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:০১ অপরাহ্ণ

Thasanতাহসান। এক নামে সবাই চিনে তাঁকে। দারুণ সব গানগেয়ে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে। অভিনেতা ও মেডেল হিসেবেও তিনি জনপ্রিয়। বর্তমানে ব্র্যাকবিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।

ছোটবেলায় পড়েছেন সেন্ট যোসেফ স্কুলে। তারপর নটরডেমের গন্ডি পেরিয়ে আইবিএ হয়ে আমেরিকার কার্লসন স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট থেকে করে এসেছেন এমবিএ ।

অনেক আগে তাঁর এক ভাতিজা বলেছিলেন,বাংলাদেশে তেমন কোন রোল মডেল নেই। কথাটা খুব গায়ে লেগেছিল তাঁর। অতঃপর দেশের প্রতি তীব্র ভালোবাসা নিয়ে কিছু একটা করতে চেয়েছেন। সেদিনের তাহসান আজ এত কম বয়সে তরুণ প্রজন্মের কাছে সত্যিই একজন রোল মডেল। বর্তমানে স্ত্রী মিথিলা আর একমাত্র মেয়ে আইরাকে নিয়ে বেশ আনন্দেই কাটছে তাঁর সময়।

প্রশ্ন : সংগীত জীবনের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
তাহসান :  ছোটবেলায় শিশু একাডেমীতে মা জোর করে নিয়ে যেতেন। তখন সংগীতের প্রতি এখনকার মতো তীব্র অনুরাগ ছিলনা। কিন্তু এখন বুঝি, শিশু একাডেমী কিংবা পরবর্তী সময়ে ছায়ানট ছাড়া আজকের অবস্থানে আস্তে পারতাম না।

প্রশ্ন : গানবাজনা আর পড়াশোনার ক্ষতি হয় আপনি কীভাবে দুটোই সামলিয়েছেন?
তাহসান :  ধরেন, প্রতিদিন তুমি আট ঘণ্টা করে ঘুমানো। বাকী ১৬ঘন্টাই তো পড়ে না কেউ। সব কাজের পর দেখা যায় হাতে তিন চার ঘণ্টা রয়ে গেছে। আমি সেই সময়টুকুইকাজে লাগিয়েছি।

প্রশ্ন : আপনার কাছে বন্ধুত্ব মানে…
তাহসান :  বন্ধুত্বে তিনটি বিষয় থাকবে- বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, আর একসঙ্গে থাকার আনন্দ। অর্থাৎ, বন্ধুকে শ্রদ্ধা করবে। যেকোন কথা শেয়ার করতে পারবে। একসঙ্গে থাকলে খুশি হবে। এরই নাম বন্ধুত্ব।

প্রশ্ন : কখনো স্কুল পালিয়েছেন?
তাহসান :  সেন্ট যোসেফ স্কুলে, স্কুল পালানোটা মোটামুটি অসম্ভব ছিল। তাই তেমন স্কুল পালানো হয়নি। তবে দু-একবারপালিয়ে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আর কনসার্ট দেখতে গিয়েছিলাম।

প্রশ্ন :  কিশোর তাহসান কেমন ছিল? দুরন্ত না শান্ত?
তাহসান :  আমি খুব চঞ্চল ছিলাম। খেলাধুলা করতে ভালোবাসতাম। ইনডোর ক্রিকেট,ক্যারম, সাতচারা আর টেবিল টেনিস খেলতাম।

প্রশ্ন : প্রথম মঞ্চে ওঠার অনুভূতি কেমন ছিল?
তাহসান :  প্রথম মঞ্চে ওঠার কথা অবশ্য মনে নেই। তবে একটা ঘটনা মনে পড়ে। ১৯৯২সালে ফাইভে থাকতে একবার পয়লা বৈশাখে রমনা বটমূলে গান গেয়েছিলাম। পরদিনসেই ছবিটা ছাপা হয়েছিল ইত্তেফাক-এ। বন্ধুরা দেখে ছবিটা স্কুলের ব্ল্যাকবোর্ডে লাগিয়ে দিয়েছিল।

প্রশ্ন : আপনার জীবনেও কি এমন কোন ব্যক্তিত্ব আছে, যাঁর সঙ্গে আপনি দেখা করতে চান?
তাহসান : ছোটবেলা থেকেই আমার পলিম্যাথদের সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছা। পলিম্যাথ হলো, যিনি একই সঙ্গে অনেক বিষয়ে পারদর্শী। তাঁদের মধ্যে আছেন সত্যজিৎ রায়, লেওনার্দো দা ভিঞ্চি, ভিগো মর্টেনশেন। আমিও একদিন পলিম্যাথ হতে চাই।

প্রশ্ন : তিন গোয়েন্দা  নাকি ফেলুদা কোনটা বেশি প্রিয়?
তাহসান :  ফেলুদা। অনেকবার পড়েছি।

প্রশ্ন : আপনার জীবনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত কোনটি?
তাহসান :  যখন আমার মেয়ে আইরাকে প্রথম কোলে নিই।

প্রশ্ন : যে কাজটা কখনোই তাহসানের দ্বারা সম্ভব নয়…
তাহসান :  ছবি তোলা। মিথিলার ছবি তোলার পর ও আমাকে বলে,কী সব ছবি তোলো ? শুধু আমার মেয়ে আইরার ছবিই আমি নির্ভয়ে তুলি। কারণ, সেই ছবিগুলো শুধু আমার,এগুলো আমার জন্যই..

প্রশ্ন : এমন কোনো ঘটনা আছে, যা আপনার জীবনের মোড়ঘুরিয়ে দিয়েছে?
তাহসান : যখন জি-সিরিজ থেকে প্রথম অ্যালবাম বের করার জন্যডাক পেলাম।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!

 

প্রতিক্ষণ/এডি/আকিদুল ইসলাম

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G